জেলহত্যা দিবস বঙ্গবন্ধু-চার নেতার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জেলহত্যা দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩ নভেম্বর, রবিবার সকাল ৭টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
পরে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এরপর পরই দলটির সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, তাঁতী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের অনেক কর্মসূচি রয়েছে।
এর মধ্যে আজ সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র সংগঠনের শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালোব্যাজ ধারণ করা হয়। সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে জাতীয় তিন নেতা ও ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত।
এছাড়াও বিকাল ৩টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তন স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় জাতীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিভৃত প্রকোষ্ঠে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে। ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা ও তার সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা একই সূত্রে গাঁথা।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্রকারীরা জাতীয় চার নেতাকে তাদের সরকারে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এ জাতীয় চার নেতা সে প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। এ কারণে তাদের নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়।