কিশোরীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ, আটক দুই

প্রতিকি ছবি

তালের বীজ খাওয়ানোর কথা বলে এক কিশোরী পোষাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে পটুয়াখালীর আউলিয়াপুরে। ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন কিশোরীটি।
সোমবার সকালে পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের উত্তর বাদুরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মুসা (২২) ও সোহেল (২৩) নামের দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বিকেলে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিশোরীকে ভর্তি করা হয়। এরপরই পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবার জানায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরী ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করে।  কর্মস্থল পরিবর্তনের কারণে বেশ কিছুদিন ছুটির সুযোগ পেয়ে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে আসে সে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরীকে তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী কহিনুর বেগম তাঁকে তালের বীজ খাওয়ানোর জন্য তার ঘরে ডেকে নিয়ে যায়।  তিনি ঘরের পিছনে রান্নাঘরের বাইরে বসে কিশোরীকে দা আনতে ঘরের ভিতরে পাঠায়।  এসময় ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থাকা একই বাড়ির শাহ আলম মৃধার ছেলে ইসা (১৯) এবং বারেক মৃধা ছেলে কাওসার (২০) কিশোরীর মুখ চেপে তাকে ঘরের মধ্যেই ধর্ষণ করে।  এসময় ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছে কিশোরী।

ঘটনাটি কিশোরী তার মাকে জানালে সে অভিযুক্ত ছেলেদের অভিভাবকদের জানায়।  কিশোরীর বাবা ঘটনা জানতে পেরে বিকেল ৪টার দিকে কিশোরীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ ঘটনা জানতে পারার পরপরই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের পালিয়ে যেতে সহয়তা করার অপরাধে সন্ধ্যায় মুসা ও সোহেলকে আটক করে।

এদিকে কিশোরীর রিক্সাচালক বাবা থানায় অভিযোগ করেছেন, ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে প্রভাবশালী একটি পক্ষ তাকে হুমকী দিচ্ছে।