আমেরিকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ৬ মার্কিন এমপি'র চিঠি

কাশ্মীর ইস্যুতে ৬ মার্কিন সংসদ সদস্য কাশ্মীরে বিদেশী সাংবাদিক এবং মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের প্রবেশাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে চিঠি দিয়েছেন।

মার্কিন ওই এমপি’রা কাশ্মীরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রূপরেখা প্রস্তুত করা এবং অবিলম্বে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

মার্কিন এমপি’রা রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে দেয়া চিঠিতে বলেছেন, আমরা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার উপরে বিশ্বাস করি এবং সাংবাদিক ও কংগ্রেসের সদস্যদের ওই অঞ্চলে প্রবেশের মাধ্যমেই এটি অর্জন করা যেতে পারে। আমরা স্বাধীন গণমাধ্যমের স্বার্থে ও যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য ভারতকে দেশ-বিদেশের সাংবাদিক এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আগুন্তুকদের জন্য জম্মু-কাশ্মীরকে উন্মুক্ত করতে উৎসাহিত করছি।’

চিঠিতে আরও জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘জম্মু-কাশ্মীরের সমস্ত ল্যান্ডলাইন পরিসেবা চালু হয়েছে না এখনও কিছু বাকি আছে? ‘প্রিপেইড’ সহ সমস্ত মোবাইল ফোন  পরিসেবা কবে পুনরুদ্ধার হবে? কীভাবে ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি বহাল করা হবে? তাঁদের প্রশ্ন, জননিরাপত্তা আইনে যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কতজন নাবালক? জননিরাপত্তা আইনের আওতায় আটকব্যক্তিদের জন্য আদর্শ বিচারিক প্রক্রিয়া কী?

সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রদূত শ্রিংলাকে প্রশ্নে বলেছেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরে কার্যকর করা কারফিউয়ের অবস্থা কী? জনগণকে অবাধ বিচরণ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের পরিকল্পনা কী? আমরা কবে এটি আশা করতে পারি?

তাঁদের জিজ্ঞাসা, কেন এপর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে বিদেশি সাংবাদিকদের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না? কবে তাঁদের ওই অঞ্চলটি দেখার অনুমতি দেয়া হবে? ভারত সরকার কী মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য বা অন্যান্য বিদেশি কর্মকর্তা, যারা জম্মু ও কাশ্মীর সফর করতে চান তাঁদের স্বাগত জানাবে?’

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গত ৫ আগস্ট থেকে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ মর্যাদা সম্বলিত ৩৭০ ধারা বিলোপ করে  সেখানে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করেছে। আটক অথবা গৃহবন্দি করা হয়েছে বহু মানুষকে। একটানা দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার মানুষজন।