শাহেদ প্রসঙ্গে, অবশ্য স্ত্রী-সন্তান পরিবারেরও দায় আছে কিছু-নওশাদ জামিল।
প্রতারক, দুর্নীতিবাজ মোঃ শাহেদের পরিবার আছে, স্ত্রী ও কিশোরী মেয়ে আছে। টেলিভিশনে স্ত্রীর ইন্টারভিউ দেখলাম। পত্রিকায় কিশোরী কন্যার কথা পড়লাম। শাহেদের স্ত্রী ও কন্যা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে চারপাশের মানুষের প্রচণ্ড সমালোচনায়। বিরূপ সমালোচনা হবে, তা সত্য। স্বামীর পাপের দায় স্ত্রীকে, বাবার অন্যায়ের দায় কন্যাকে নিতে হয়। এটাও আমাদের সমাজের বাস্তব সত্য।
অবশ্য স্ত্রী-সন্তান, পরিবারেরও দায় আছে কিছু। সন্তানের সচেতন হওয়া উচিত বাবা-মায়ের আয়ের উৎস সম্পর্কে। স্ত্রীর সচেতন হওয়া দরকার স্বামীর অবৈধ সম্পদ ও অন্যায় সম্পর্কে। স্বামীরও সচেতন হওয়া দরকার স্ত্রীর অন্যায়-অবিচার সম্পর্কে। শাহেদের স্ত্রী হয়তো বারণ করেছিলেন, স্বামীকে থামাতে পারেননি। তারপরও পরিবার যদি সচেতন হয়, আদর্শবান ও সৎ হয়, প্রথমে পরিবার থেকে যদি কড়া প্রতিবাদ হয়-সমাজ ও রাষ্ট্রের অনাচার অনেকাংশেই কমে যেতে পারে।
দুঃখজনক বিষয়, অনেক পরিবার-প্রধানই জঘন্য অন্যায়-অনাচার করে। টাকার পাহাড় বানায় দুর্নীতি করে। পরিবারের অধিকাংশ সদস্য তা নীরবে সমর্থনও করে। পরিবারের কেউ কেউ অবশ্য প্রতিবাদও করে। কিন্তু অধিকাংশ নয়। পরিবারের অধিকাংশ সদস্য যদি কড়া প্রতিবাদী হয়, পরিবার প্রধানের পক্ষে অন্যায়-অনাচার করা সহজ নয়। দুর্নীতি, প্রতারণা, অন্যায়-অনাচার বন্ধ করতে হলে পরিবারের মানসিকতা পাল্টানো জরুরি।