টাপেন্টাডলকে ‘মাদকদ্রব্য’ হিসেবে ঘোষণা
টাপেন্টাডল জাতীয় ওষুধকে ‘মাদকদ্রব্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। মূলত এই ওষুধটি ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহার করা হতো। মাদকের বিকল্প হিসেবে এই ওষুধকে ব্যবহার করায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ওষুধটিকে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
দেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীনে টাপেন্টাডল জাতীয় ওষুকে তফশিলে যুক্ত করেছে সরকার। ৮ জুলাই এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়।
ওই গেজেটে বলা হয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রস্তাবমতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ ধারা অনুযায়ী ওই আইনে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে টাপেন্টাডলকে তফসিভুক্ত করা হলো।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, টাপেন্টাডলকে মাদকদ্রব্য হিসেবে ঘোষণা করায় এসব ট্যাবলেট উৎপাদন না করতে কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যেই কয়েকটি কোম্পানি এই ট্যাবলেটের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশের গ্লোব ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেড, এসকেএফ বাংলাদেশ লিমিটেড, অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড এবং স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেড বিভিন্ন নামে এই ওষুধটি উৎপাদন করে থাকে। তবে কোম্পানিভেদে একেকটি ট্যাবলেটের দাম ১২ টাকা থেকে ১৭ টাকা।
কম দাম ও সহজ লভ্য হওয়ায় এ ধরনের ব্যথানাশক ট্যাবলেটগুলোকে মাদক হিসেবে ব্যবহার করার খবর গত দুই-তিন বছর ধরেই দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো প্রকাশ করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।