করোনাভাইরাস: গণবিয়ে, জাহাজে আক্রান্ত ৬১, ফক্সকন বানাচ্ছে মাস্ক
করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে দ্রুত গতিতে। একে কেন্দ্র করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটছে নানান ঘটনা। একদিকে ৩০ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে হলো গণবিয়ে, অন্যদিকে একটি জাহাজে মিলেছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৬১ জন।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সত্ত্বেও দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েক হাজার যুগল গণবিয়েতে যোগ দিয়েছে। শুক্রবার সিউলের উত্তরপশ্চিমের গ্যাপিয়াংয়ের চেয়ং শিম পিস ওয়ার্ল্ড সেন্টারে এই অনুষ্ঠান হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
আয়োজকরা বলছেন, এতে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে অন্তত ছয় হাজার যুগলই প্রথমবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। চীনের উহান থেকে ছড়িয়েপড়া করোনাভাইরাসের ছায়া এই গণবিয়েতেও দেখা যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন চার্চের কর্মীরা উপস্থিতদের জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও সার্জিকাল মাস্কসহ নানান উপকরণও রেখেছিলেন।
গণবিয়ে আয়োজনে দক্ষিণ কোরিয়ান গির্জাটির ভালোই নাম-ডাক আছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে আরও অনেক পাবলিক ইভেন্টের মতো এ আয়োজনও খানিকটা ধূসরতা ভর করেছে। তাই বিয়ের আগে গির্জার কর্মীরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতে মেখে, সার্জিক্যাল মাস্ক হাতে পরে, প্রতিটি বর-কনের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে নিয়েছেন।
এদিকে, জাপানের ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামক একটি জাহাজে পাওয়া গেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬১ জন। ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনের জন্য জাহাজটিকে আলাদা করে রাখা হয়েছ। বন্দিদশায় দিন কাটাচ্ছেন তিন সহস্রাধিক যাত্রী। আর আক্রান্তদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। এছাড়া করোনার সংক্রমণ রোধে ওয়ার্ল্ড ড্রিম নামে আরো একটি জাহাজও সমুদ্রে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখা হয়েছে।
জাহাজ থেকে বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। তাই ঘোরাঘুরি , গল্প করে, কখনও বা নাচে গানে সময় পার করছেন জাপানের ডায়মন্ড প্রিন্সেসের যাত্রীরা।
জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাটসুনোবু কাটো জানিয়েছেন ৩৭০০ যাত্রীর মধ্যে ২৭৩ জনের মধ্যে করোনার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ায় পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর থেকেই ধরা পড়তে থাকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী এবং বাড়তে থাকে সংখ্যা। এর মধ্যে বেশিরভাগই জাপানি নাগরিক।
আক্রান্তদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনার নাগরিকও রয়েছেন। জাহাজ থেকে নেয়া হচ্ছে হাসপাতালে। আর যাত্রীদের দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইনের রাখার কারণে ১৯শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এভাবেই আটকে থাকতে হবে তাদের। জাহাজের যাত্রীসহ শুধু জাপানেই করোনাতে আক্রান্ত হয়ছে এখন পর্যন্ত ৮৬ জন।
এছাড়া, ভবিষ্যতে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে এমন আশঙ্কায় বেশি করে টয়লেট পেপার সংগ্রহ করছেন গ্রাহকরা। অন্যদিকে অ্যাপল ফোনের প্রস্তুতকারক ফক্সকন কোম্পানি মাস্ক বানানো শুরু করেছে।
চীন থেকে সরঞ্জাম না আসার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানি দক্ষিণ কোরিয়ার উলসান শহরে গাড়ি তৈরি বন্ধ করে দিয়েছে হুন্দাই কোম্পানি।