মৃত্যু ঠেকাতে পারছে না চীন, মৃতের মিছিলে ২৫৯

ছবি : সংগৃহীত


করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মৃতদের মিছিলে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নাম। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে ২৫৯ জনের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। এদের অধিকাংশই ভাইরাসটির শনাক্তস্থল হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। এ প্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে ২৪৯ জনের। আর এতে আক্রান্ত হয়েছে হয়েছেন ১১ হাজার ৭৯১ জন মানুষ। আজ ১ ফেব্রুয়ারি, শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে চীনের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

চীনের সবগুলো প্রদেশ ছাড়াও অন্তত ২২টি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। চীনের আক্রান্তদের সংখ্যাসহ বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৯৪৩ জন। নতুন করে যুক্তরাজ্য এবং রাশিয়ায় শনাক্ত হয়েছে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এদিকে চীন থেকে নিজ নিজ নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে একের পর এক দেশ। বিশেষ বিমানে করে দেশটি থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে বাংলাদেশ, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের। আর যেসব বিদেশি দুই সপ্তাহের মধ্যে চীন সফর করে আসছে তাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর হুবেই প্রদেশ থেকে আসা মার্কিন নাগরিকদের ১৪ দিনের জন্য পর্যবেক্ষণের জন্য আলাদা করে রাখছে দেশটি।

শুক্রবারই প্রথমবারের মতো দুই করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করার কথা জানায় যুক্তরাজ্য। দেশটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ক্রিস হুইটি বলেন, ‘এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। আপনারা জানেন, যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুবই উন্নত। কিন্তু আমরাও ঝুঁকির মধ্যে আছি। এরই মধ্যে আমরা ব্রিটিশ নাগরিকদের মধ্যেও করোনা ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছি।’

এদিকে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের প্রতিষেধক উদ্ভাবনে নিযুক্ত এক ফরাসি গবেষক জানিয়েছেন, ওষুধ হাতে পেতে আরও কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।

অপরদিকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান মাস্ক উৎপাদনকারী দেশ হয়েও চাহিদা কুলিয়ে উঠতে পারছে না চীন। যে কারণে তারা বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশ বিশ কোটি মাস্ক তৈরির অর্ডার করেছে তারা।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৩ সালে চীনে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া সার্স ভাইরাসকেও ছাড়িয়ে গেছে নভেল করোনাভাইরাস। সে সময় আট মাসে সার্স ভাইরাসে ৮ হাজার ১শ’ ব্যক্তি আক্রান্ত হন। এতে প্রাণ যায় ৭শ’ ৭৪ জন মানুষের।