বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লি, কারফিউ জারি
ভারতের এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভের জেরে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে বড় সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জারি করা হয়েছে কারফিউ। ওই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দায়ের করা হয়েছে ৪টি মামলা। পুলিশের দাবি, অপরাধের পুরনো রেকর্ড থাকা লোকেরাই বিক্ষোভে শামিল হয়েছিল।
শীর্ষ এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর একটার দিকে যখন বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলবাসগুলো বাড়ি ফিরছে, তখন শুরু হয় বিক্ষোভ। ঝামেলার সূত্রপাত দিল্লির সীলমপুর থেকে ঝাফরাবাদগামী মিছিলের মধ্যে দিয়ে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে বিক্ষোভের কথা আগেই জানানো হয়েছিল পুলিশকে। প্রথমে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভই শুরু হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা বাস ও স্কুলবাসগুলোকে নিশানা করে বলে অভিযোগ।
পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছুড়তে শুরু করে প্রায় ২০০০ বিক্ষোভকারী। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভের জেরে দিল্লির সাতটি মেট্রো স্টেশন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়।
এর আগে রোববার বাসে আগুন ও জামিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযানের পর থেকেই ভারতের রাজধানীর পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। রোববার রাতে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালায় দিল্লি পুলিশ। বিনা অনুমতিতে গায়ের জোরে পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন চিফ প্রক্টর ওয়াসিম আহমেদ খান।